অধ্যাপক স্বপন কুমার ঘোষাল ‘নর্থ-বেঙ্গল-ইউনিভার্সিটি’-তে পদার্থ-বিদ্যায় বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বাজান সেতার, দেখান ম্যাজিক, পড়েন বই। সুরসিক, আনন্দ দেন, আনন্দে থাকেন।

কোভিড-১৯, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা

ডঃ স্বপন কুমার ঘোষাল


কথাটা ক’দিন ধরে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। নিরীহ একটা হোয়াটস্‌-অ্যাপ প্রতিবেদন! সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিদ-১৯ এর প্রতিষেধক প্রস্তুতি নিয়ে একটি আশার খবর শুনিয়ে প্রতিবেদক বলছেন “এখনো কি আমাদের বোঝার সময় হয়নি যে ধর্ম নয়, মন্দির মসজিদ ছেড়ে দিয়ে বিজ্ঞান গবেষণাতেই আমাদের বেশি করে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন?” এরকম আরও মন্তব্য দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় “এখন ভগবান নয়, বিজ্ঞানই আমাদের বাঁচাবে”। কথাগুলোর একটু বিশ্লেষণের প্রয়োজন।

প্রশ্ন হ’ল বিজ্ঞানের কোন শাখার উপর জোর দেব? উত্তর হবে কেন সাধারণ ভাবে জীববিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান আরও নির্দিষ্টভাবে ভাইরাস বিদ্যা। এটা ঠিক যে ভাইরাসটির চরিত্রটি যত ভাল করে জানব, তত তার প্রতিষেধক প্রস্তুতির দিকে কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাব। রসায়নকে তো সঙ্গে সঙ্গেই এগোতে হবে না হলে প্রতিষেধক বা ওষুধ কী করে তৈরী হবে? এখানে মনে হতে পারে পদার্থ বিজ্ঞানের তেমন কোনও ভূমিকা নেই, তাই না? উত্তর না, কারন তা হলে উত্তরোত্তর উন্নত মানের ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ কোন বিজ্ঞান সরবরাহ করবে? যে যন্ত্রটি ছাড়া ভাইরাস দেখাই যায় না। স্ট্রাকচারাল বায়োলজি বলে বিজ্ঞানের একটি শাখা আছে; তার সাহায্যে যেমন বড় বড় জৈব অণুর (ম্যাক্রো মলিকিউলের) আকৃতি ও গঠন, এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির সাহ্যায্যে আজকাল সহজেই নির্ণয় করা যায়, তেমনই নতুন ড্রাগ ডিজাইনেও সেই জ্ঞান প্রভূত সহায়তা করে। এক্সরে ক্রিস্ট্যালোগ্রাফি আবার পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়, যা কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ডরোথি হজকিন ভিটামিন B12 অণুর আকৃতি ও গঠন নির্ণয় করে ১৯৬৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।

নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়ে গেলেও তার বহুল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি বিজ্ঞান। কোভিড অতিমারী বা প্যানডেমিকের বিস্তার ভাল করে বোঝার জন্য আবার দরকার গণিত ও বিভিন্ন কম্পিউটার মডেলিংয়ের। তাত্ত্বিক বিজ্ঞানও বাদ দেওয়া যাবে না কারণ তত্ত্ব ছাড়া বিজ্ঞান অচল। এক কথায় এই সঙ্কট মোকাবেলায় বিজ্ঞানের প্রায় সব শাখাকেই যুক্ত থাকতে হবে কোনও না কোনও ভাবে।

আচ্ছা মাস্ক কারা তৈরি করবে? পি পি ই? এগুলো ক’দিনেই তো কুটির শিল্প হয়ে উঠেছে। তৈরি করছেন সব অতি সাধারণ মানুষ। এঁদের কাজও তো সমান ভাবে প্রয়োজন করোনা থেকে বাঁচবার জন্য। আমার মনে হয় খাদ্যেরও বোধ হয় প্রয়োজন আছে সকলের, এমনকি যাঁরা করোনা নিয়ে গবেষণা করেন তাঁদেরও। খালি পেটে যেমন ধর্ম হয়না তেমন হয়না বিজ্ঞানও। তাই দরকার কৃষি কাজ, যেটা কৃষকরাই ভাল পারেন। এরকম অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায় যাতে আমাদের বোধ বা প্রত্যয় হয় যে আমরা কেউই বিচ্ছিন্ন নই, সকলেই কোনও না কোনও ভাবে “connected”। মনে হতে পারে এ সব তো বহু চর্চিত কথা, খামোখা ঘটা করে আবার এর উত্থাপন কেন! এর উত্তর হ’ল যুক্তির পর যুক্তি দিয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হয়তো পারি, কিন্তু সেই জ্ঞান ভাসা ভাসা (superficial)। শুধু হৃদয়ঙ্গম করা নয়, প্রয়োজন তত্ত্বটির নিরন্তর দর্শন। এই ধরনের জ্ঞান মানুষের সমস্ত শরীর ও মন দিয়ে হয়। এ ব্যাপারে আমি একটি উদাহরণ দেব। আমার একজন যন্ত্র শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় ছিল, তিনি এই ঘটনাটি আমাকে বলে ছিলেন। একদিন তিনি রেওয়াজ করতে করতে এমন স্তরে পৌঁছলেন যে তাঁর মনে হ’ল কী করে তিনি এই সুর সৃষ্টি করলেন। পরক্ষণেই তাঁর মনে হ’ল এই বাজনা কি তিনি বাজালেন! ভাবনায় প্রথমে যুক্তি ভিড় করল। “মনে হল, এই যন্ত্রটি ছাড়া তো আমি বাজাতে পারতাম না, কিন্তু যন্ত্রটি তো অন্য একজন বানিয়েছেন। তারগুলো, কাঠের অংশগুলিও অন্যান্যরা বানিয়েছেন। চাষি লাউ ফলিয়েছে যা দিয়ে যন্ত্রটি তৈরি হয়েছে। গুরু যত্ন করে শিখিয়েছেন আর আমি শুধু আমার কাজটুকু করেছি। মুহূর্তে যেন একটা বোধ আমাকে আচ্ছন্ন করল, মনে হ’ল আমি যেন বিশ্বব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বেজে চলা একটা অর্কেস্ট্রার ছোট্ট অংশ মাত্র। এ আমি বোঝাতে পারব না। ক্ষণেকের জন্য মনে হ’ল যেন এই বাদ্যবৃন্দতে নিজেই বেজে চলেছি কিন্তু আমার আমিটুকু কোথাও নেই।” এই হল দর্শন।

আচ্ছা শিল্প সাহিত্যের কি প্রয়োজন নেই? এই লেখকের মনে হয় যে এ দুটোই তো জীবনের রসদ, এ ছাড়া তো বেঁচে থাকাই বৃথা। আমার পাঠকরাও নিশ্চয়ই এই কথা সমর্থন করেন। বিজ্ঞানবাদ বা সাইনটিজম, এ বিষয়ে কতটা মান্যতা দেয় আমার সন্দেহ আছে। সায়েন্স ও সাইনটিজম এক জিনিস নয়। দ্বিতীয়টি একটি মতবাদ। যে কোনও মতবাদই মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে অন্য মানুষের সঙ্গে। মতবাদ নয়, প্রয়োজন দর্শন বা realisation। দর্শনে থাকে শুধু প্রেম যা সকলকে আপন করে নিতে চায়।

এখন এ প্রসঙ্গ থাক বরং একটু আকাশের দিকে তাকানো যাক। ট্যুইংকিল ট্যুইংকিল লিটল স্টার। মেঘ মুক্ত অন্ধকার রাতে ছাদে শুয়ে যদি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা যায় তবে সকলে আমরা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যাই। সব জ্যোতিষ্কগুলি কিন্তু মিট মিট করে না, এগুলো গ্রহ। রাত আটটার সময় থেকে (দশটা হলে ভাল হয়) আজকেও খালি চোখে পূব আকাশে দেখতে পাবেন এক অতি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক, সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে। বাকিগুলোর বেশির ভাগই নক্ষত্র। সামান্য কিছু গ্যালাক্সি (ছায়াপথ) ও নিহারীকাকেও খালি চোখে দেখা যায়। টেলিস্কোপ, নিদেনপক্ষে সাধারণ বাইনোকুলার থাকলে তো কথাই নেই। বিস্ময় সেক্ষেত্রে বহুগুণ বেড়ে যায়।

এই মহাবিশ্বের বিশালত্ত্ব সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আন্দাজ করা যায় যদি প্রশ্ন করা হয়, কতগুলি গ্যালাক্সি আছে বা কতগুলো নক্ষত্র আছে এই ব্রহ্মাণ্ডে। জ্যোতির্বিদদের হিসেব মত এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বে প্রায় দশ হাজার কোটি ছায়াপথ আছে আর প্রতিটি ছায়াপথে রয়েছে গড়ে কম বেশী দশ হাজার কোটি নক্ষত্র। এর একটি আমাদের সূর্য, যা আছে এই ব্রহ্মাণ্ডের আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে।এই গ্যালাক্সিটি  দেখতে গুটিয়ে থাকা একটি কেন্নোর মত। এরই এক অকিঞ্চিৎকর সভ্য আমাদের সূর্য, তার গ্রহ পরিবার নিয়ে এই স্পাইরাল গ্যালাক্সিটির লেজের দিকে কোথাও অবস্থান করছে। সমস্ত নক্ষত্রকূল এবং আমাদের সূর্য, প্রজ্জ্বলিত গ্যাসের এক একটি অগ্নিকুণ্ড। কোটি কোটি হাইড্রোজেন বোমা ফেটে চলেছে এদের ভিতরে নিরন্তর। সূর্যের এই শক্তি বা তেজই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। ভাবলে অবাক হতে হয়, প্রায় দেড়শ’ কোটি বছর আগে এক মহা বিস্ফোরণ বা Big Bang দিয়ে যে ব্রহ্মাণ্ডের সূচনা হয়েছিল,  যা সম্প্রসারিত হতে হতে আজ বিশাল আকার ধারণ করেছে। একটা সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী এর ব্যাসার্ধ প্রায় দশ হাজার কোটি আলোকবর্ষ। মানুষ তো সম্প্রতি এসেছে এই বিশ্বে। এই ব্রহ্মাণ্ডের দেড়শ’ কোটি বয়েসের তুলনায় সত্যিই মানুষের আগমনের সময় কোনও হিসাবের মধ্যেই আসে না। কয়েক লক্ষ বছর মাত্র। মানুষের আয়ুষ্কাল তো তাহলে এক মুহূর্তও নয়। এই মহাবিশ্বের বিশালত্বের কল্পনাতেই আমাদের মাথা নত হয়ে আসে, মানুষ হিসেবে আমাদের অহংকার চূর্ণ হয়ে যায়। আমরা “মানুষ মরণশীল” এটা ধ্রুব সত্যি বলে মেনে নিলেও আমরা ধরে নিই যে মনুষ্যজাতি এই পৃথিবীতে যেন চিরকাল থাকবে! কিন্তু এতো আদপেই সত্য নয়! কারণ নক্ষত্রগুলোর জীবন চক্র আছে, তাদের বিবর্তন আছে। কোনও কোনও বড় তারা হয়তো তাদের আয়ুর শেষ দিকে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহ্বরে পরিণত হবে। আর আমাদের সূর্য্যর অভ্যন্তরের জ্বালানি হাড্রোজেন যখন শেষ (রূপান্তরিত) হয়ে যাবে তখন তা বিশালাকায় একটি রেড জায়েন্ট বা লাল দানবে পরিণত হবে। এই আবস্থায় পৃথিবী শুদ্ধু তার সমস্ত গ্রহ পরিবার কে সে গ্রাস করে এক বিষ্ফোরণের পরে একটি শ্বেত বামনে পরিণত হয়ে কোনক্রমে বেঁচে থাকবে। বলাই বাহুল্য ঐখানেই মনুষ্যজাতির অবশ্যম্ভাবী বিনাশ। যদি না তার আগেই পরিবেশ দূষণ বা বড় উল্কাপাতে আমরা ধ্বংস হয়ে না যাই।

নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই বেরিয়ে যাবে, আমাদের দুশিচিন্তাও আর দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কিন্তু প্রশ্ন, সাধারণ ভাবে মৃত্যু নিয়ে আমরা এত ভীত কেন? বিশেষ করে যাঁরা বিজ্ঞান ছাড়া আর কিছু বিশ্বাস করেন না। মৃত্য তো তাঁদের কাছে কেবল অবস্থার পরিবর্তন মাত্র।

ফিরে আসি যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানে।

হোয়াটস্‌-অ্যাপ প্রতিবেদন-টিতে মন্দির মসজিদ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। আসলে মন্দির, মসজিদ বা ভগবানের ব্যাপার নয়, এটা যেন বিজ্ঞানকে প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে আধ্যাত্মিকতার বিরোধিতা করা।

মুশকিল হ’ল আমরা নিজেদের দিকে তাকাই না। আমরা বেশির ভাগ মানুষ বাইরের দিকে তাকাতেই ব্যস্ত। বিজ্ঞানের চর্চাও একই অভিমুখে অর্থাৎ বাইরের দিকে। অন্তর্মুখী চিন্তাটা বিজ্ঞানের আওতার মধ্যে পড়ে না। কেন্দ্রাভিগ দৃষ্টি দিয়ে জীবনটাকে দেখা ও জানার ইচ্ছেই হ’ল আধ্যাত্মিকতা। এই দৃষ্টি দিয়ে মানুষ মন দিয়ে মনকে জানতে চায়। বোঝার চেষ্টা করে জীবন কী মৃত্যু কী! এই বোঝাই কিন্তু “দর্শন”। এই প্রশ্নের, ভাষায় কোনও উত্তর হয় না। বরং সব প্রশ্ন মিলিয়ে যায়। যাঁরা ভাবেন ধর্ম স্থানে গেলে তাঁদের অন্তর্মুখিন হতে সুবিধে হবে তাঁদের তা করতে দিন না। সবাই তো বৈজ্ঞানিক হতে পারবেন না। বিজ্ঞান চর্চা করতে চাইলে নিবিষ্ট মনে তাই করুন, কিন্তু বিজ্ঞানবাদী হয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। আমাকে বোধহয় এতক্ষনে “ভাববাদী” ঠাউরেছেন কেউ কেউ। এটাই তো মানুষের স্বভাব। আমরা অন্য মানুষকে সহজেই দেগে দিতে চাই। কেউ আস্তিক, কেউ নাস্তিক, কেউ মার্ক্সবাদী, কেউ বা ভাববাদী। এর কারন সাধারণভাবে নির্মোহ ও মুক্ত চিন্তা করায় মানুষের অনাগ্রহ বা আলস্য।

পরিশেষে বলি “আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ...” বলার জন্য রবীন্দ্রনাথকে যদি ভাববাদী তকমা দেওয়া হয় তবে এই লেখকও সেই তকমা (যদিও ভুল) মাথা পেতে নিতে রাজি আছে।



Post a Comment from facebook

9 Comments

  1. অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। যেন কোনো অধ্যাপকীয় লেখা নয়। এটাই লেখার সবচেয়ে বড়ো মাহাত্ম্য। একজন বিজ্ঞানী, কী অসম্ভব গতি নিয়ে হাইপোথিকেশন-পরীক্ষা-নিরীক্ষা-সিদ্ধান্তের পর চলে যাচ্ছেন একটা বিশেষ পরিসরে, যাকে আধ্যাত্মিকতা নামে চিহ্নিত করা হয়। বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত বদলায়, নতুন অজানা উঠে আসে, কিন্তু তা ব্রহ্মাণ্ডের বিশালতার কাছে কতটুকু? ক্ষুদ্রাতিতম। তাই একসময় গিয়ে সেই বিশালত্বের নিয়ামক শক্তি-চিন্তনের পায়ের গোঁড়ায় গিয়ে দাঁড়াতেই হয় বামণের মতো। অসহায় সহায় মাঙে। শুধু যে নিজের জন্য, তা নয়, মাঙে সমস্ত জড় ও জীবজগতের জন্য। স্পিরিচুয়ালিজম কোনো আটপৌরে সাংসারিক ধর্ম-অধর্ম-কুধর্ম-বিভাজন আর আমিত্ব নয়। সে ভেতরে তাকানোর। বাইরের অনুসন্ধানের সঙ্গে আরও বেশি করে ভেতরের অনুসন্ধান। আমার অভিজ্ঞতায় আরেকজন পদার্থবিদকে জানি। তিনি প্রফেসর অমূল্য গুহ। এই অধম তাঁর ছাত্র। তাঁকেও দেখেছি (তখন তিনি প্রৌঢ়) একইভাবে এই আধ্যাত্মিকতায় মশগুল। এখানে আপনাকেও লক্ষ করলাম। মানুষের ভাবনারও একটা আশ্রয়স্থল চাই তো। যেখানে শুরু হতে পারে ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের দিকে যাত্রা, শুরু হতে পারে, ভেতর দেখতে দেখতে, ভেতর থেকে, অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে চারদিকে যাত্রা। চলুক সে। জীবনের এই জার্নিটা উপভোগ করুক। ভূমানন্দে জেগে উঠুক প্রাণ। খুব ভালো লেখা দাদা। আপনি লিখবেন আরও। ভালো থাকুন।

    ReplyDelete
  2. শিবমস্তু �� ��

    ReplyDelete
  3. লেখাটি আতীব প্রসংশনীয়। কিন্তু মন্দির-মস্জিদের সংগে আধ্যাত্মবাদ মিলিয়ে দিয়ে গোল বাঁধিয়েছেন। ধর্মীয় সংস্কার, কুসংস্কার, গোঁড়ামী, কুটতা, ক্র(ু)রতা, অন্ধবিশ্বাস ইত্যাদির সংগে তার কি সম্পর্ক? কোন দার্শনিকের এইসব সমস্যা থাকার কথা নয়।

    ReplyDelete
  4. বেশ সুন্দর লেখা হয়েছে স্বপনবাবু। ভালো থাকবেন - অমিতাভ মুখোপাধ্যায়

    ReplyDelete
  5. Amar mobile theke bangla horoph harie gachhe tai erokom okkhorei kritognota janachchhi amon sohoj kore atovgobhir styota likhe deoar jonyo. Apnar paoa WhatsApp message ta amio ak bondhur kachh theke peyechhilam. Spnari to shishyo. Tai oke likhe chhilam erokom bijnan moulobadita asole ohonkarer bibhrom. Ei moulobadita onyo jekono moulobaditar motoni murhota. Ishwar ja jogotjure kore rekhechhen tai khonde khonde khnuje peye manush bigyaner bhul dharona niye laphay, laphanota tar joibik bibortoner uttoradhikar. Kothay je maante osubidhe hoy je atoboro bishyota amar bishleshoner bindute dhorbe na! Ei oshubidhetai chorom aeboijnanik murhota. Ami apnar songe bose bose gaite chaai, amar matha noto korr dao he tomar choronodhular tole.
    Joy hok. Pronam.

    ReplyDelete
  6. খুব ভালো লাগলো এবং শব্দগুলি মনের মধ্যে কোথাও যেন চেনাসোনা মনে হলো (আগে অস্পষ্ট ছিল !)

    ReplyDelete
  7. Pronam naben sir. Hope one day all world stand as a single Home

    ReplyDelete
  8. আপনার আরো লেখা পড়তে চাই। আপনাকে শ্রদ্ধা।

    ReplyDelete
  9. বিজ্ঞান যুক্তি মানে আজ যা সত্য বিজ্ঞানে কাল মিথ্যা।তাই লেখা টা অসাধারণ যুক্তি নির্ভর।সুধু বলা যেতে পারে বিজ্ঞান থেমে নেই আধ্যাত্মিকতা থেমে আছে একটা বিন্দুতে।সেখান থেকে নড়ছে না। একটা বিন্দুতে পৌঁছানোর চেষ্টা নাই।গোল গোল হয়ে ঘুরছে।বিজ্ঞান নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post