পেশায়
বেসরকারী চাকুরে আর প্রাণে কবিতা, এককথায় এই হলেন পার্থসারথি ভৌমিক। লেখালেখির
ক্ষেত্রে অন্যরকম কিছু করবার প্রয়াসী এই কবি তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থেই নিজের
ছাপ রেখেছেন।
অন্ধবিন্দু
পার্থসারথি ভৌমিক
হান নদীর মাংসের তর্জমায় কেউ শানিত পাথর রাখে। তিন শহরের হাড়ের উপমা ছেনে তৈরি করে শিবির। প্লাম ফুলের বাতাসে ভাসিয়ে দেয় বিষাক্ত খাম। নীল গ্রহের কার্নিশে অসহায় ডুবতে থাকে প্রতিটা মানুষ।
ছাদ পার করে যায় জরিপের যন্ত্রে রাখা, চোখ। কিরাতের আগে হ্রস্ব ফোয়ারার দাঁত, ব্রিজ কাটে।
সিমেন্টের ধুম লাগে লোহা, ইট, বালির, জমাট খিলানে।
ভাস্করের খোদাই করা অজস্র ম্যুরাল তাকে শুশ্রূষা দিতে চায়।
টবের বাড়ি , ফলন্ত হাঁস , ঝোলানো পুকুর , দোলনার মাছ ......।
ভাস্কর সব ওজন ভালোবেসে বুকের ওপর নেয়। ভয়ে চুপসে যায় নিরেট প্রেসক্রিপশন ।
গঙ্গায় ভেসে যায় অর্ধদগ্ধ নাভি। মালসার চারদিকে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে ওষুধের স্ট্রিপ, প্লাস্টিকের সিরিঞ্জ, টুকরো তুলো।
অন্ধবিন্দুতে দাঁড়িয়ে এক মলিন বেলুনওয়ালা সহসা ডুকরে ওঠে।
Source: https://pixabay.com/photos/ |
দারুন লাগলো পার্থসারথি ভৌমিকের লেখা অন্ধবিন্দু। অনুভূতিগুলো শব্দবন্ধের দ্বারা এক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ !
ReplyDeleteবেশ। বেশ। ভালো থেকো পার্থ।
ReplyDeleteউমা-দা ...অনেক শ্রদ্ধা ...ভালোবাসা ।।
ReplyDeletePost a Comment